Story : Valobasar Joy
Writer : Tariqul Islam Shovon
শোভন ভাবে, এইভাবে সুন্দর একটা জীবন শেষ হয়ে যাবে। তা তো সে হতে দিতে পারে না। ঠিক তখনই সানিয়াদের পরিবারকে আশার আলো দেখায় শোভন। পুরোপুরি সাপোর্ট দেয় সানিয়াকে। এখন তার অনেক কাজ। কথা যেহেতু দিয়েছে, সেহেতু যে করেই হোক টাকা তাকে যোগাড় করতেই হবে। শোভন ওর বন্ধু সাইম, নাঈমকে সব ঘটনা বলে। তারা কিছু টাকা দেয়। তারপর শোভন তার টিউশনির কিছু টাকা অগ্রীম আনে। সবসময় সানিয়ার খোঁজ নেয় সে। সানিয়াকে শুধু এই কথাই বলে, "এটা কোনো করুণা নয়। তোমার প্রতি আমার ভালোবাসা। তোমাকে বাঁচতেই হবে।"
সানিয়াও শোভন কে ভালোবাসতে শুরু করে। সানিয়া বিশ্বাস করে শোভন কখনো ওকে ছেড়ে যাবে না। টাকার জন্য শোভন তার সবচাইতে প্রিয় গিটারটা বিক্রি করে দেয়। তার কাছে এখন সানিয়ার জীবনটাই বেশী দামি।
একদিন শোভন টাকাগুলো নিয়ে সানিয়াদের বাষায় যাচ্ছে। পথে কিছু মাস্তান তাকে খুব মারধোর করে। শোভন কিছুতেই টাকাগুলো ছাড়ে না। কারণ এটাই শেষ সম্বল। এর উপরই নির্ভর করে আছে একটি জীবন, একটি পরিবার, একটি ভালোবাসা। কিন্তু "কপালের লিখন না যায় খন্ডন।" শেষ চেষ্টা করেও শোভন টাকাগুলো রক্ষা করতে পারল না।
শোভন সেদিন বাষায় চলে যায়। পরে সানিয়া শোভনকে কল করে।
_কি খবর তোমার?
_এইত ভালো। তোমার অবস্থা কি?
_এইত। ওহ সু-সংবাদ টাকার জোগাড় হয়ে গেছে। ডাক্তারের সাথে কথা বলেছি। চাইলে আগামীকালই অপারেশণ শুরু করতে পারবা।
সানিয়া খুশীতে আত্মহারা। পরদিন যথা সময়ে অপারেশণ শুরু হয়। শোভনের জন্য অনেক্ষণ অপেক্ষা করে সানিয়া। শোভন আসে না। শেষে অভিমান নিয়ে অপারেশণ থিয়েটরে যায় সানিয়া। অপারেশণ সফল হয়। ভেবেছিল চোখ খুলেই শোভনকে দেখতে পাবে। কিন্তু না। একটু পর সাইম আসে। সানিয়া অনেক জানতে চাইলে শেষে বলে, "কোথাও কোনো টাকা না পেয়ে শেষমেষ শোভন তার কিডনী দুটো বিক্রি করে অপারেশণের টাকা যোগাড় করে।"
এই কথা শুনে সানিয়ার চিৎকার হাসপাতালের দেয়ালে প্রতিধ্বনি সৃষ্টি তোলে। কিন্তু ততক্ষণে শোভন চলে গেছে না ফেরার দেশে। সানিয়া একবার বলতেও পারল না তার ভালোবাসার কথা। ফিরে পেয়েও পেল না। সত্যি শোভন তাকে ভালোবাসত। তার ভালোবাসায় কোনো খাঁদ ছিল না।
নিজের জীবন দিয়ে শোভন তার ভালোবাসা জয় করল। সে প্রমাণ করল- "সত্যিকার ভালোবাসা কখনো হারে না। চির অমর হয়ে থাকে।"
~I Love U, Sania~
|| End ||